ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস: গরুর দুধ ফুড অ্যালার্জির অন্যতম প্রধান একটি কারণ এবং এর কারণে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে প্রতি ৫০ শিশুর মধ্যে ২ জন অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। যদিও বেশিরভাগ শিশু ৪ বছরের মধ্যেই এ জাতীয় অ্যালার্জি যুক্ত হয়ে বড় হয়ে ওঠে; কিন্তু কেউ কেউ সারাজীবন ধরেই এ জাতীয় অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুুখীন হন।
গরুর দুধ পান করার ফলে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং একজিমা প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে খুবই কম দেখা যায়।
গরুর দুধের সঙ্গে অন্যান্য খাবারেও অ্যালার্জি থাকতে পারে: কোনো শিশুর গরুর দুধের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য খাবারের (যেমন ডিম, সয়াবিন, চিনাবাদাম ইত্যাদি) প্রতিও অ্যালার্জি থাকতে পারে। এ ধরনের অ্যালার্জি অর্থাৎ একাধিক খাবারের প্রতি অ্যালার্জিকে বলা হয় মাল্টিপল অ্যালার্জি। এক্ষেত্রে এক্সটেনসিভলি হাইড্রোলাইজড ফর্মুলা ইএইচএফ কার্যকরী হবে না। কারণ এইএইচএফ গরুর দুধের অ্যালারজেনকে প্রতিহত করলেও অন্যান্য খাবারের অ্যালারজেন অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে সক্ষম। এরকম মাল্টিপল অ্যালার্জি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অপরিহার্য।
গরুর দুধের অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: গরুর দুধের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ল্যাকটোজ। অনেকে এ ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। কারণ তাদের ল্যাকটোজ হজম করার মতো প্রয়োজনীয় ল্যাকটোজ এনজাইমের স্বল্পতা রয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিরা দুধ খেলে ডায়রিয়া, বমি ও তলপেটে ব্যথাজাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব লক্ষণ অস্বস্তিকর; কিন্তু ক্ষতিকর নয়। এসব ব্যক্তি সামান্য পরিমাণ দুধ ও অন্যরা বিশেষ কিছু দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারে। এদের ক্ষেত্রে প্রিক টেস্ট ও রক্ত পরীক্ষার ফলাফল হয় নেগেটিভ। অর্থাৎ এটি অ্যালার্জি নয়। এসব ব্যক্তি যদি দুধ পরিহার করেন কিংবা ল্যাকটোজবিহীন খাবার গ্রহণ করেন তবে এসব অস্বস্তিকর ব্যাপার এড়াতে পারেন।
অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে: ** ইউসিনোফিলিক ইসোফ্যাগাইটিস, ** গ্যাস্ট্রোইসোফিজিয়াল রিফ্লাক্স, ** ইসোফ্যাগাইটিস, ** এন্টারোপ্যাথি ইত্যাদি এসব লক্ষণ গরুর দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার পরিহার করলে দূরীভূত হয়।